আইন-আদালত

সাবেক ওসি আরশাদসহ তিনজনের বিষয়ে প্রতিবেদন ২২ এপ্রিল

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শাহবাগ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/অপারেশন) মোহাম্মদ আরশাদ হোসেনসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য দুজন হলেন- কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া ও মো. ইমাজ হোসেন ইমন।

Advertisement

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশনের পক্ষে আজ শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম সরদার ও গাজী মোনাওয়ার হুসাইন।

আরও পড়ুন

Advertisement

কনস্টেবল সুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাচানখাঁরপুলে গুলি: কনস্টেবল ইমন কারাগারে

আসামিদের আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রসিকিউশন দুই মাস সময় চাইলে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আরশাদ হোসেনকে আগামী ২ মার্চ, ইমাজকে ৩ মার্চ ও উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার সরকারকে ২৭ ফেব্রুয়ারি একদিন করে সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দিয়ে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চাঁনখারপুলে বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে সুজন হোসেনকে কখনো দাঁড়িয়ে বা কখনো শুয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

গত ১ জানুয়ারি ৫ আগস্টে রাজধানীর চাঁনখারপুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের কনস্টেবল সুজন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম

Advertisement