দেশজুড়ে

মাদকের টাকার জন্য চলন্ত বাসে ডাকাতি

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা মাদকাসক্ত। মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতেই তারা ডাকাতিতে অংশ নেয়। বাস থেকে লুট করা একটি মুঠোফোন সেটের বিনিময়ে গাঁজা নেন তারা। ওই গাঁজা বিক্রেতার সূত্র ধরেই সন্ধান মেলে ডাকাত চক্রের সদস্যদের। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আহসানুজ্জামান।

তিনি বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারি ডাকাত দলের সদস্যরা সাভার আশুলিয়া এলাকার। অনুসন্ধানে এক সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি ওই এলাকার নেশাখোর কিছু যুবক বাসে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাই করেন। তারা সাভার এলাকার একজন মাদক কারবারির কাছ থেকে নিয়মিত গাঁজা ও হেরোইন কেনেন। শুক্রবার বিকেলে সাভারের চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের একটি পেট্রলপাম্পের সামনে থেকে ওই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।

মো. আহসানুজ্জামান বলেন, কিছুদিন আগে একটি মুঠোফোন সেটের বিনিময়ে তার কাছ থেকে শহিদুল, সবুজ, শরীফুজ্জামানসহ কয়েকজন গাঁজা নিয়ে গেছেন। তখন ওই মাদক কারবারিকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ শহিদুলদের সন্ধানে বের হয়। বিকেল ৫টার দিকে সাভারের গেন্ডা এলাকার অটোমোবাইলের গ্যারেজ থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় মো. সবুজ ও শরীফুজ্জামানকে আটক করা হয়। পরে আটক করা হয় ডাকাত দলের আরেক সদস্য শহিদুল ইসলামকে। জিজ্ঞাসাবাদে সবাই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

Advertisement

গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মুহিত মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের বদর উদ্দিন শেখের ছেলে, সবুজ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে ও শরীফুজ্জামান সাভারের টানগেন্ডা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। শহিদুল ইসলামের নামে দুটি বাসে ডাকাতি ও তিনটি মাদক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, মো. সবুজ ও শরীফুজ্জামান শরীফ টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিন জনের পরিচয় জানিয়েছেন।

এরআগে সোমবার মধ্যরাতে ইউনিক রোড রয়েলসের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে যাত্রীদের টাকাপয়সা ও মালামাল লুঠ করে। এ সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে ওমর আলী নামের এক যাত্রী মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।

আরএইচ/জিকেএস

Advertisement