মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
Advertisement
তারা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি তারা এটি সমাধানের নতুন উপায় খুঁজে বের করা ছাড়াও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার জন্য নতুন দাতাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার উপায় অনুসন্ধান করেন।
ড. ইউনূস জানান, জাতিসংঘ এ বছর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করবে। মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড ইতোমধ্যে এই সম্মেলনের সহ-সমন্বয়কারী হওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপকে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
Advertisement
জুলি বিশপের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ড. ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান মানবিক সংকট লাঘব এবং পশ্চিম মিয়ানমার থেকে নতুন শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রনীতির অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও দাতা সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
এসময় বিশপ বলেন, জাতিসংঘের আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন সফল করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের টেকসই সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
Advertisement
তিনি আরও জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।
এমইউ/এএমএ/জিকেএস