আইন-আদালত

ইফার সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে বিতর্কিত নিয়োগে হাইকোর্টের রুল

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে বিতর্কিত ও অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া ও নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও শিকদার মুবিনা আশরাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

রোববার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী নিজে।

গত ২৮ জানুয়ারি রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি তিনি সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৮ জানুয়ারি তিনি রিটটি করেন।

Advertisement

২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গঠিত হয়নি কোনো তদন্ত কমিটি - বিধিবহির্ভূত নিয়োগপ্রাপ্তরা বহাল তবিয়তে, বিতর্কিত ও অবৈধ নিয়োগে নীরব ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ এবং ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন যেন আত্মীয় স্বজনের পুর্নবাসন কেন্দ্র’ শিরোনমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। রিটে এ বিষয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- নিয়োগের সুপারিশপত্রে সই করেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, জনপ্রশাসন, অর্থ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি। তার পরও চাকরির নামেই সোনার হরিণ ভাগ্যে জুটেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মাদের আর্শীবাদে। লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। নিয়োগে মুখ্য হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের দলীয় পরিচয়।

এফএইচ/এএমএ/জিকেএস

Advertisement