অস্কারের ৯৭তম আসরটি এক বিশেষ মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে। কারণ ফরাসি সিনেমা ‘এমিলিয়া পেরেজ’ ১৩টি বিভাগে মনোনীত হয়েছে। এর মধ্যে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তালিকায় রয়েছে সিনেমার অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন।
Advertisement
ছবিতে নিনি ট্রান্সজেন্ডারের চরিত্রে অভিনিয় করেছেন। প্রথমবারের মতো অস্কারে এ ধরনের চরিত্রের কোনো শিল্পী মনোনয়ন পেয়েছেন। তাকে ভাবা হচ্ছে সম্ভাব্য অস্কারজয়ী হিসেবে।
তবে তার অস্কারের স্বপ্নে বড় একটি বাঁধা তৈরি হয়েছে পুরোনো বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সোফিয়া ইসলাম ধর্ম এবং মুসলিমদের বিভিন্ন রীতিনীতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকান পুলিশের সমালোচনা না করে, ফ্লয়েডকে মাদকাসক্ত ও প্রতারক বলেও অভিহিত করেছিলেন।
এছাড়া অস্কার নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের জন্যও তাকে 'রেসিস্ট' বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যাপক সমালোচনাও চলছে তাকে ঘিরে।
Advertisement
এই বিতর্কের পর সোফিয়া তার এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছেন। তবে তার পুরোনো পোস্টগুলোর স্ক্রিনশট এখন ভাইরাল। গত বৃহস্পতিবার সেগুলো প্রকাশ্যে আনেন সাংবাদিক সারাহ হাগি। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর এক পোস্টে কার্লা সোফিয়া লিখেছেন, ‘স্পেনে কি মুসলমানের সংখ্যা বেড়ে গেল? যখনই আমার মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাই, দেখি চোখ-মুখ ঢাকা কিছু মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। পরের বছর থেকে হয়তো ইংরেজির বদলে আমাদের আরবি ভাষা শিখতে হবে।’
নারীদের বোরকা পরিধান এবং ইসলামের প্রতি তার বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি দেখে নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, একজন ‘রেসিস্ট’ কিভাবে অস্কারে মনোনয়ন পেতে পারেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় কার্লা সোফিয়া শেষ পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার পুরোনো পোস্টগুলো অনেকের জন্য কষ্টকর ছিল, তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি একটি উন্নত বিশ্ব গঠনের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছি এবং বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই।’
এখন প্রশ্ন উঠছে, এসব বিতর্ক কার্লার অস্কারের স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিনা।
Advertisement
এলআইএ/জিকেএস