লালগালিচা বিছানো পথে হেঁটে গিয়ে রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশন খাল সংস্কারকাজের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
Advertisement
তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বলছে, এই লালগালিচা বিছানোর পেছনে অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল না। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সংস্কারকাজের উদ্বোধনের জন্য ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে একটি ভাসমান এক্সকাভেটর খালের ওপর রাখা হয়। ওই এক্সকাভেটরে যাওয়ার জন্য কাঠ-বাঁশ দিয়ে মাচা পাতা হয়। এর ওপর লালগালিচা বিছানো হয়। পরে ওই লালগালিচার ওপর দিয়ে হেঁটে এক্সকাভেটরের ওপর ওঠেন তিন উপদেষ্টা। পরে বেলা ১১টার দিকে ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, যেখানে ভাসমান এক্সকাভেটর রাখা হয়েছিল তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়, বরং একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছিল। এছাড়া এক্সকাভেটরে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদামাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের ফ্লোর পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেটসদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করেছে গণমাধ্যমে এসেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা লালগালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এক্সকাভেটরে উঠে কাজের সূচনা করেন। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লালগালিচা নয়, বরং শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল না। যেহেতু ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সবসময় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। এদিন সকালে মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/ইএ
Advertisement