রাজনীতি

রক্ত ঝরিয়ে স্বার্থ হাসিল করা ঠিক হবে না: দুদু

রক্ত ঝরিয়ে স্বার্থ হাসিল করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, কেউ কেউ সমস্যা জিইয়ে রেখে ব্যবসা করতে চায়। আর রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমস্যা সমাধান করা। এ কারণে রাজনীতিতে যারা সঙ্গে আছে, তারাই আগামীতে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ প্রফেশনালসের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা: উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় পাহাড়ি-বাঙালি সমস্যা নিয়েও কথা বলেন তিনি। দুদু বলেন, পার্বত্য অঞ্চল, সমতল অঞ্চল- সবাই কিন্তু বাংলাদেশি। পাসপোর্টে বাংলাদেশি উল্লেখ আছে, বাঙালি না। আমরা বাংলাদেশি এটা যদি বুকে ধারণ করতে পারি তাহলে নব্বই পারসেন্ট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পার্বত্য অঞ্চলে যে উপজাতিগুলো আছে, তাদের আলাদা আলাদা পরিচয় থাকলেই সমস্যাটা বেশি হবে। আমরা সবাই বাংলাদেশ। তবে যার যার নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, ধর্ম আছে। সে সংস্কৃতি ও ধর্ম তারা ধারণ করবে, পালন করবে।

পার্বত্য অঞ্চলে শুধু তারাই থাকবে- এই দৃষ্টিভঙ্গির ফলে সংকট তৈরি করতে পারে উল্লেখ করে দুদু বলেন, ওই ভূখণ্ডে যে উপজাতিগুলো আছে তারা তো ঢাকাতেও আছে। সারাদেশেই আছে। এখানে তো সংকট তৈরি হয়নি। এ কারণে সমতল ভূমির মানুষের পাহাড়ে যাওয়ার ফলে সংকট তৈরি হওয়ার বিষয়টি অনেকটা ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝগড়া হওয়ার মতোই।

Advertisement

আরও পড়ুন

১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপিবিএনপির ‘কথার টোন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে’: নাহিদ ইসলাম

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে এ পর্যন্ত যত কিছু হয়েছে তার পেছনে একটা শক্তি আছে, এটা আমরাও জানি, বিশ্ববাসীও জানে। তবে তারা যদি মনে করে ছোট রাষ্ট্র বিধায় বাংলাদেশের প্রতিবাদের ক্ষমতা নেই, তাহলে তারা ভুল চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশিরা বীরের জাতি। দেশ রক্ষা করার ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলা এই দেশের মানুষকে দিয়েছেন।

পাহাড়ি অঞ্চলে শুধু উপজাতিরাই থাকবে, আর কেউ যেতে পারবে না- এমনটা ভাবলে ভুল হবে বলে মনে করেন শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আমাদের পরস্পরকে গ্রহণ করতে হবে। সেটা করা সম্ভব না হলে সংকট ঘনীভূত হবে। এটা বিএনপি প্রত্যাশা করে না।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মিলে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। তবে আমাদেরকে কেউ কেউ পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। এটাই বাংলাদেশের স্পিড, বিএনপির স্পিড, ১৭ বছর ধরে যে রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের স্পিড।

Advertisement

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নিয়ামুল বশির, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।

কেএইচ/এএমএ/জেআইএম