চারটি খাতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মালয়েশিয়া। দেশটির পরিবহন মন্ত্রী দাতুক সেরি লিও টিয়ংলাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই আওতায় বাংলাদেশি শ্রমিকরাও থাকছে। স্টার অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।উৎপাদন, নির্মাণ, প্লান্টেশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আসবাব শিল্পে কর্মী সংকটের কারণে দেশটির মন্ত্রীসভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে লিও বলেন, তীব্র সঙ্কটের কথা চিন্তা করেই এসব খাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর থেকে আমাদেরকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। মন্ত্রিসভায় ইতোমধ্যেই বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের পদ্ধতিকে আরো উন্নত করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অন্যান্য খাতেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যাবে। লিও আরো বলেন, অন্যান্য খাতেও আমরা ধাপে ধাপে উন্নয়ন করব। কেননা বিভিন্ন খাতে উৎপাদনের ক্ষেত্রে শ্রমিকরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এক্ষেত্রে যদি নিয়োগকর্তারা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এতো বেশি অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হন তবে তা আমাদের দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করবে। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সেক্টরের পরিস্থিতি বুঝতে সরকারের কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন লিও। কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন যে, মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নেয়া নিয়মিত এবং সঠিকভাবে করা সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেশন অফ মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারসের তথ্যানুযায়ী দেশে ৮৪ ভাগ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্মী সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এদের মধ্যে অর্ধেকেরই অভিযোগ তারা নির্দিষ্ট আদেশ পালন করতে পারছে না। সার্ভে অনুযায়ী, এ বছরের শুরুতে ১শ ৪৬টি কোম্পানির ১৩ হাজার ২শ ৭০ জন শ্রমিকের চাহিদা ছিল। কিন্তু সবগুলো সেক্টরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে, গত মাসে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেন, খুব শিগগিরই বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। টিটিএন/পিআর
Advertisement