মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি), প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সব শহীদদের স্মরণে এখন থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
Advertisement
দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে তিনি বলেন, এই দিনে গভীর বেদনার সঙ্গে জাতীয় সূর্যসন্তান ও শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করি ও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।একই সঙ্গে তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাই।
একান্ত প্রিয়জন হারানোর এতগুলো বছর পরেও শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্বজন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন। পিলখানায় বীর সেনার সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেকগুলো বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের নানা বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার বিচার করতে দায়বদ্ধ। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে সমব্যথী হয়ে দেশ ও জনগণ শহীদ পরিবার ও নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে সেই আশাবাদ রাখছি।
আরও পড়ুন পিলখানা হত্যাকাণ্ড : পেরিয়ে গেল ৯ বছর পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর: একনজরে বিদ্রোহের সেই দুদিন পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের একযুগবাণীতে তিনি আরও বলেন, এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার মত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন ষড়যন্ত্র ও আত্ম অহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তা প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।
Advertisement
দারিদ্র্য ও বেকারমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশি যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি। জাতির শহীদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে আমি আবারও শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
এমইউ/এমআরএম/জিকেএস