জাগো জবস

ব্যাংকে চাকরির কৌশল জানালেন জুনায়েদ মাশরুর

জুনায়েদ মাশরুর ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে কর্মরত আছেন। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে তার রয়েছে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। তিনি ভাবেন কর্মই এগিয়ে নিয়ে যায় মানুষকে। সম্প্রতি তার ক্যারিয়ার ও সফলতা নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেনজির আবরার—

Advertisement

আপনার ছেলেবেলা, পড়াশোনা আর পরিবার নিয়ে বলুন—জুনায়েদ মাশরুর: আমি ঢাকার শাহীন স্কুলের ছাত্র। এরপর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়া হয় আমার। ১৯৮০ সালে এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে বোর্ডে ৭মসহ স্ট্যান্ড করি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা শেষ করি। আমরা দুই ভাই, তিন বোন। আমি সবার ছোট হওয়ায় আদরও পেতাম অনেক।

কর্ম জীবনে প্রবেশ সম্পর্কে কিছু বলুন— জুনায়েদ মাশরুর: আমি ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে বিসিসিআইতে ১৯৮৯ সালে জয়েন করি। ১৯৯১ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায় পৃথিবীজুড়ে। এরপর এটি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড নামে বাংলাদেশ সরকার চালু করে। আমি সেখানে কিছুদিন কাজ করেছি। তারপর আমি ব্যাংক অব নভো স্কটিয়া ঢাকায়। ১৯৯৮ সালে এএনজেড গ্রীনলেজে জয়েন করি। যা পরবর্তীতে স্টান্ডার্ড চাটার্ড নামে আসে ২০০০ সালে। যেখানে ২০১১ পর্যন্ত কাটিয়েছি। ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ছিলাম ইস্টার্ন ব্যাংকে। ২০১৬-২০১৭ সালে ব্যাংক এশিয়ায় কাজ করি। ২০১৮ থেকে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে কাজ করছি ডিএমডি হিসেবে।

যে পথ আপনার জীবনের গতি বদলে দিয়েছে— জুনায়েদ মাশরুর: আমাকে কোর ব্যাংকিং এক্সপেরিয়েন্স দিয়েছে স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক। এছাড়া যে কয়েকটি ব্যাংকে কাজ করেছি প্রত্যেকটির নানা দিক আমাকে সমৃদ্ধ করেছে।

Advertisement

তরুণ যারা ব্যাংকিং পেশায় আসবে, তাদের মধ্যে যে গুণগুলো দেখতে চান— জুনায়েদ মাশরুর: নিজেকে প্রতিনিয়ত বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে নিতে হবে। এখনকার ব্যাংক জব মানে প্রচুর স্মার্ট কমিউনেকশন বুঝতে হবে। হতে হবে ডিজিটালি সবকাজে সক্ষম। মূলকথা, নিজেকে তৈরি করে আসতে হবে।

তরুণদের চাকরি খোঁজার মাধ্যমগুলো সম্পর্কে যদি বলতেন— জুনায়েদ মাশরুর: আসলে জব পোস্ট এখন সবার হাতের নাগালেই। খুঁজে নিতে হবে নিজের সাথে পারফেক্টলি যে জবগুলো ম্যাচ করে সেগুলো কোনটা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন হতে পারে এর উৎস। লিংকডইন একটি ভালো জায়গা কমিউনিকেশন করে অ্যাপ্লাই করার জন্য। একটি ভালো আবেদন প্রার্থীকে অনেক এগিয়ে নেয় অন্যদের চেয়ে।

এসইউ/জেআইএম

Advertisement