বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর থানার হত্যাচেষ্টার পৃথক দুই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এম লিটন আহমেদ।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. লিটন আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বিভূতি ভূষণ সরকার, শফিক রায়হান শাওন, জহিরুল ইসলাম মোহাম্মদ খুররম শাহ মোরাদ, লুৎফে জাহান পূর্ণিমা ,মাহজেরিন মোশাররফ ও এম হাসানুজ্জামান তুষার।
Advertisement
আইনজীবী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নটপ্রেস) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর মিরপুর থানার দুই হত্যাচেষ্টা ও খিলগাঁও থানার এক হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন বিচারিক আদালত। গত ১ জানুয়ারি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মিরপুর থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের বাবুর্চি হৃদয় মিয়া জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান।
সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা, ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলিও চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নম্বর ছাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
Advertisement
মিরপুর থানার অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন আদহাম বিন আমিন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবর্ষণ করলে তার দুই হাঁটুতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২২ অক্টোবর তার ভাই আকিবুন নূর হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
গতবছর ২১ অক্টোবর হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। এরপর কয়েক দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস