মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানিতে (সুপ্রিম কোর্ট) আদালতের ওপর চাপ প্রয়োগ করার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার।
Advertisement
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের আংশিক শুনানির পর মূলতবি করার পর মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আদালতের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল, আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশী। আর এটা যেহেতু সাবজুডিশ ম্যাটার, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী লিগ্যাল বিষয়গুলো খুব পরিষ্কার করে গণমাধ্যমের সামনে ব্যক্ত করেছেন। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা আদালতে এসেছিলাম পর্যবেক্ষণ করার কার জন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আগামীকাল আবারও শুনানি হবে, সিনিয়র আইনজীবীরা শুনানি করবেন। শুনানির পরে আদালত নিশ্চয় কোনো আদেশ দেবেন। আমরা ওয়েট করছি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টার পর প্রধান বিচারপতির ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আপিল বিভাগে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। আইনজীবী প্যানেলে আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
Advertisement
এর আগে রিভিউ শুনানিতে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে উপস্থিত হন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর নেতা ড. হেলাল উদ্দিন। এছাড়া আদালত কক্ষে জামায়াতপন্থি শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু জামায়াতের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এছাড়া দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে জামায়াত।
এফএইচ/এসএনআর/এমএস
Advertisement