মাঝে মাঝেই পানি সংকটে পড়তে হয় নগরবাসীর। ওয়াসাও পানি সরবরাহ দিতে হিমশিম খায়। বাসার জমানো পানিও শেষ হয়ে যায়। তাই সবসময়ই পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে পানি সংকট দূর হতে পারে। আসুন জেনে নেই উপায়সমূহ-
Advertisement
১. সকালেই নিজের বাগানের পরিচর্যা করুন। গাছে সকালে পানি দিলে পরিমাণেও কম লাগে। কারণ সকালের দিকে তাপমাত্রা কম থাকে। ফলে গাছেরও অতিরিক্ত পানি প্রয়োজন হয় না।
২. সন্ধ্যায় গাছে পানি দিলে গাছ বাড়ার ক্ষেত্রে অনুকূল নয়। গাছে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করেও ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারেন।
৩. ব্যবহৃত পানি ফেলে না দিয়ে তা বাগান পরিচর্যার কাজে লাগান। এমনকি ওয়াটার পিউরিফায়ারে রিভার্স অসমোসিসে যে পানি নষ্ট হয়; সেটিকে ফেলে না দিয়ে ঘর, বাথরুম ও গাড়ি পরিষ্কারের কাজে লাগান।
Advertisement
৪. গোসলের ক্ষেত্রে পানি বাঁচানোর জন্য ঝরনা ব্যবহার না করে বালতি বা মগ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ গোসলের জন্য বাথটব ব্যবহার করলে প্রায় ৭০ গ্যালন পানি লাগে। তাই বাথটব ব্যবহার করলে পানি খরচ বাড়বে।
৫. টয়লেট ব্যবহারের পর প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ফ্লাশ ব্যবহার না করাই ভালো। টিস্যু, সিগারেট বা অন্যান্য বর্জ্যপদার্থ টয়লেটে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেললে অতিরিক্ত পানি খরচ হবে না।
৬. বাসনপত্র ধোয়ার জন্য বেসিনের কল খুলে না রেখে পানি দিয়ে সিঙ্ক ভর্তি করে বাসন মাজা উচিত। ডিশ ওয়াশার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বহুক্ষণ ধরে তা চালিয়ে না রেখে ‘ওয়াটার কনজার্ভিং আইস মেকার’ ব্যবহার করলে পানি সাশ্রয় হবে।
৭. গাড়ি ধোয়ার ক্ষেত্রে হোস পাইপ ব্যবহার না করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানি ব্যবহার করলে অনেকটাই পানি সংরক্ষণ করতে পারবেন।
Advertisement
৮. ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার সময় মেশিন পুরো ভর্তি না করে যতটা প্রয়োজন ততটাই পানি ব্যবহার করার কথাও ভাবতে পারেন।
৯. পরীক্ষা করে নিন, আপনার বাড়ির পানির লাইনে কোথাও ‘লিক’ আছে কি-না। আপনার চোখের আড়ালে অকারণে পানি নষ্ট হতে দেবেন না।
এসইউ/পিআর