আন্তর্জাতিক

ফণীর সম্ভাব্য তাণ্ডব মোকাবেলায় জরুরি বৈঠকে মোদি

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ওড়িশার দিকে অগ্রসর হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য তাণ্ডব মোকাবেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি বৈঠকে বসেছেন। শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ওড়িশার দক্ষিণের পুরী উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে বলছে, ভারতের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বৈঠকে ফণীর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নেয়া প্রস্তুতির ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিকে অবগত করেন।

ঝুঁকিপ্রবণ রাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করতে মোদি তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : ৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’

Advertisement

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার পুরী উপকূল থেকে মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। শুক্রবার বিকেলের দিকে পুরী শহরের দক্ষিণ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ফণী।

ওই সময় বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত তা বৃদ্ধি পেতে পারে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সকালের দিকে ফণী উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বিশাখাপত্তমের সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছিল।

শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার করে এড়িয়ে যাচ্ছে এই অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশার ১৯ জেলায় ফণীর প্রভাব পড়তে পারে। পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিন জেলায়ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে।

আরও পড়ুন : ওড়িশা থেকে মাত্র ৪০০ কিমি দূরে ফণী

Advertisement

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে আজকের মধ্যে সব পর্যটককে হোটেল ছেড়ে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ওড়িশা সরকার। বাঙালি পর্যটকদের জন্য পুরী-কলকাতা বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। ১০৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

পুরী, কেন্দ্রাপড়া, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, কটক, জাজপুরের আট লাখেরও বেশি মানুষকে ওড়িশা উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৮৭৯'রও বেশি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের এই সাইক্লোন শেল্টারেই আপাতত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষা বাহিনী এবং বির্পযয় মোকাবেলা বাহিনীর ৭৮টি দল ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

এসআইএস/পিআর