ইমামকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের মুসলিম বন্দী ডোমিনিক রায়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তার আইনজীবীদের আবেদনের পর একটি ফেডারেল কোর্ট মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাজ্য সরকার।
Advertisement
এরপর সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনটি খারিজ করে দেয়ার পর বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়েই প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
আদালতের কাছে রায়ের আবেদন ছিল যে, তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের সময় যেন খ্রিষ্টান যাজক উপস্থিত না থেকে একজন ইমাম উপস্থিত থাকেন, যাতে তিনি নিজের ধর্মের একজন ইমামের কাছ থেকে ধর্মীয় নির্দেশনা এবং স্বস্তি অনুভব করতে পারেন।
এই আবেদনের পর ফেডারেল আদালত সাময়িকভাবে ওই দণ্ডাদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল করে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ডোমিনিক রায়ের আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
Advertisement
আরও পড়ুন : প্রায় হাজার কোটি টাকায় মেয়ের বিয়ে, মার্চে ছেলের
এর আগে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত করে তিন বিচারকের প্যানেল বলেছিলেন, রাজ্যের বিরুদ্ধে রায়ের শক্তিশালী দাবি রয়েছে। এখানে সাংবিধানিক সমস্যাটি হলো যে, কোন খ্রিষ্টান বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় রাজ্যটি সেখানে নিয়মিতভাবে খ্রিষ্টান যাজককে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়।
কিন্তু একজন মুসলিম এবং অন্য ধর্মের বন্দীর ক্ষেত্রে একই সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অ্যালাব্যামা সংশোধনাগার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খ্রিষ্টান যাজক ক্রিস সামারস ১৯৯৭ সাল থেকে প্রত্যেক খ্রিষ্টান বন্দীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের সময় উপস্থিত থাকেন।
পাশাপাশি তার ইমাম ইউসুফ মাইসোনেট ২০১৫ সাল থেকে ওই কারাগারের বন্দীদের ধর্মীয় সেবা দিয়ে আসছেন। ওই ইমামকেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কক্ষে থাকতে দেয়ার আবেদন করেছিলেন রায়। তবে সেখানে থাকতে না পারলেও ইমাম প্রত্যক্ষদর্শীদের কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
১৯৯৫ সালে অ্যালাব্যামা রাজ্যে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে ডোমিনিক রায়কে ১৯৯৯ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বিবিসি বাংলা।
এসআইএস/পিআর