দেশের ব্যাংকিং খাতে বেড়েই চলেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর-২০১৬) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত করা ঋণ আবারও খেলাপি হয়ে পড়ছে। একদিকে ঋণ বিতরণে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম দুর্নীতি করছে।অন্যদিকে যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ অনুমোদনের কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এতে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তাই খেলাপির বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন না হলে আগামীতে অনেক ব্যাংক তাদের অস্তিত্ব হারাবে।তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ খেলাপি হয়েছে ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে ঋণ স্থিতি ছিল ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা এবং খেলাপি ঋণ ছিল ৫১ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর-২০১৭ পর্যন্ত তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ছিল ৬৫ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। আর ঋণ স্থিতি ছিল ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে তিন মাসের ব্যবধানে কমেছে তিন হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম দুর্নীতির কারণে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ। তাদের যেন কোনো জবাবদিহীতা নেই। তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো যাচাই-বাছাই না করেই ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। এ নীতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। এছাড়া নতুন ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপকদের জবাবদিহীতা আনতে হবে।এসআই/আরএস/পিআর
Advertisement