ফিচার

রাজপথে উড়ছে বিজয়ের পতাকা

কৃষ্ণচূড়ার লাল গেঁথে আছে সবুজের প্রান্তরে। দুলছে বাতাসে। রক্তঝরা বিজয়ের বাণী ক্ষণে ক্ষণে ছড়িয়ে দিতে চাইছে আকাশপানে। লাল-সবুজের পতাকা। রক্তমাখা পতাকা, যেখানে লুকিয়ে আছে বাংলার সবুজ-শ্যামল বিজয় গাথার হাজার বছরের রূপকথা।সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ। আবারো এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত জাতি। আনন্দধারা বইছে ঘরে ঘরে। বইছে পথে প্রান্তরে। বিজয়ের আনন্দ মিলছে আবেগের পতাকায়ও। এমন আবেগ আর ভালোবাসার পতাকার রঙে মনের রঙ কে না মেলাতে চায়?পতাকা উড়ছে গাড়িতে, উড়ছে বাড়িতেও । শিশুর কোমল হাতে বাংলাদেশের পতাকায় মিলছে বিজয়ের কথা। তাই তো বাঙালির এমন আবেগ ভর করেই তাদের পতাকার পসরা সাজিয়ে ফেরি করা। পতাকার মৌসুমি ফেরিওয়ালা তারা। লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা ওরা।বলছি লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা শাহিনের কথা। গাজীপুরের কসমেটিকের একটি ছোট দোকান থাকলেও ডিসেম্বর মাসে রাজধানী ঢাকায় আসেন পতাকা ফেরি করে বিক্রি করতে। এবার রাজধানীর হাজি ক্যাম্প সংলগ্ন একটি মেসে উঠেছেন তিনি। শুধু শাহিন নন, গাজীপুর থেকে শাহিনের সঙ্গে পতাকা বিক্রি করতে এসেছেন আরো বেশ কয়েকজন। শাহিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে অনেক আনন্দ পান। রাজপথে যখন লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে চলি তখন গর্বে বুক ভরে ওঠে। তাই প্রতি ডিসেম্বরেই ঢাকায় পতাকা বিক্রি করতে আসি। পাশাপাশি উপার্জনও ভালো হয়।বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করতে আমরা বেশ কয়েকজন একসঙ্গে ঢাকায় এসেছি জানিয়ে শাহিন বলেন, ২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন মাপের পতাকা বিক্রি করি। তবে ছোট ছোট পতাকা বিক্রি বেশি হয়। কারণ অনেকেই মোটরসাইকেল, গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশায় বিজয়ের মাসে পতাকা কিনে লাগান।শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের নানা পেশা, বয়সী মানুষের হাতে পতাকা পৌঁছে দিচ্ছেন এই শাহিনরাই। বিজয়ের মাসে চারদিকে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের পথচলার সঙ্গে সঙ্গে উড়ছে আমাদের বিজয়ের নিশানও। পতাকার ফেরিওয়ালারা বিজয় দিবসের আগমনী বার্তা বহন করে আনে এই শহরের মানুষের কাছে।এএস/এসএইচএস/এমআরএম/এমএস

Advertisement