১৯ বছরের এক কিশোরী। মুখটা দেখতে পূর্ণাঙ্গ এক নারীর মতই। তবে মাথা ছাড়া শরীরের বাকি অংশ তার কয়েক মাসের শিশুর মত। গোল একটা গামলার মধ্যেই তার জীবন আটকে আছে। সে না হাঁটতে পারে, না অন্য কোনো কাজ করতে পারে। তার মা একটা বড় গামলার মধ্যে নিয়ে তাকে পুরো গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। রহমা হারুনা নামের ওই কিশোরীর মাথা ছাড়া শরীরের আর কোনো অঙ্গই স্বাভাবিক নয়। সে চলাফেরা করতে পারে না বলে বাধ্য হয়েই তাকে গামলার মধ্যে রাখা হয়। তারা সারাটা দিন ওই গামলার মধ্যেই কাটে। অন্যান্য শিশুদের মত স্বাভাবিকভাবেই জন্মেছিল রহমা। মাত্র হাত-পাগুলো নড়াচড়া করতে শিখেছিল। কিন্তু যখন তার বয়স ছয় মাস তখন থেকেই বিপত্তি শুরু হল। রহমার মা ফাদি জানান, ছয় মাস বয়সে মাত্র বসতে শিখেছিল রহমা। কিন্ত তখনো সে হামাগুড়ি দিতে পারত না। হঠাৎ করেই সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর তার পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এই সামান্য অসুখের পর থেকেই সে তার হাত-পা নাড়াতে পারছিল না। তেমন বড় কোনো রোগ ধরা পড়েনি। তবে সেসময় থেকেই তার শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে যায়। তার মাথা পূর্ণাঙ্গ কিশোরীর মত হলেও পুরো শরীর সেই ছয় মাসের শিশুর মতই থেকে যায়। হাত, পা বা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গেরও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তবে রহমা তার সেবা যত্ন এবং প্রতিনিয়ত তার দেখাশুনার জন্য নিজের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘আমার যা আছে তার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি একটি ব্যবসা শুরু করতে চাই। আমি একটি মুদি দোকান দিতে চাই। আমি চাই লোকজন সেখান থেকে জিনিসপত্র কিনবে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমার পরিবার আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আমার যা প্রয়োজন তারা আমাকে তাই দিয়েছে।’অনেক চিকিৎসার পরেও রহমার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ঠিক কি কারণে তার শারীরিক অবস্থা এমন হয়েছে তা চিকিৎসকরাও ধরতে পারেননি। টিটিএন/এমএস
Advertisement