ফেনীর পাঁচগাছিয়া বাজারে সিগারেটের আগুন থেকে একটি ক্যারেট ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এতে প্রায় ৪৫ হাজার ক্যারেট পুড়ে গেছে বলে দাবি ফ্যাক্টরি মালিকদের৷ এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে দোকান মালিকদের দাবি ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেনী শহরতলীর পাঁচগাছিয়া বাজারে বিকেলের দিকে আগুন লাগে। এটি একটি ফলের ক্যারেট ফ্যাক্টরি ছিল। আগুন দেখার পর আমরা ফায়ার সার্ভিসেকে খবর দেওয়া হয়। প্লাস্টিক পণ্য হওয়ায় আগুনের তাপ বেশি ছিল। এজন্য ভেতরে যাওয়া যায়নি। গোডাউনে প্রায় ৪৫ হাজার ক্যারেট ছিল, সব আগুনে পুড়ে গেছে। কিছু ক্যারেট স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নেভার শেষ দিকে ফায়ার সার্ভিস আসে। প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দোকানের মালিক এনামুল হক বলেন, গোডাউনে শত্রুতা করে করে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে আমার ধারণা। কারণ আমার এখানে রাতের বেলা কাজ চলে, মানুষ বিরক্ত হয়। কেউ ইচ্ছেকৃতভাবে এ কাজ করতে পারে। এটি খোলা, মাঠ আশেপাশে কিছু নেই, সারাদিন বিদ্যুৎ ছিল না। আগুন লাগার কোনো কারণ নেই। দোকানে কোনো লোক ছিল না। সবাই বিভিন্ন কাজে গিয়েছিল। আগুনের খবর শুনে এসে দেখে সব পুড়ে গেছে। এগুলো প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য। আগুনের তাপ বেশি হওয়াতে কেউ সামনে যেতে পারেনি।
Advertisement
আগুনে নিজের ৫৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এখানে ৩ থেকে ৪ ক্যাটাগরির প্রায় ৪৫ হাজার ক্যারেট ছিল, সব পুড়ে গেছে। এগুলোর বাজারমূল্য ৫৫ লাখ টাকা। আমার আরেকজন ব্যবসায়িক পার্টনার আছে। তিনি যাওয়ার আগেই আমাকে ৩২ থেকে ৩৩ লাখ টাকার পণ্যের হিসাব দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে ১০ গাড়ি নতুন পণ্য আসছে। সবকিছুই শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ধারদেনা করে ব্যবসা করি। সব হারিয়ে আমি নিঃস্ব। ব্যবসায়ীরা টাকা পাবে। প্রশাসন যদি আমাকে সহযোগিতা না করে রাস্তায় বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ফেনী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। দুটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা কান্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। প্রাথমিক দৃষ্টিতে আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতি কম মনে হয়েছে। তবে গোডাউন মালিকরা আরও বেশি বলছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Advertisement
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জিকেএস