বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো দ্বি-মাসিক আড্ডার বিশেষ আয়োজন ‘বইমেলা বৈঠকি: ফাগুনের মলাটে বসন্ত’। কাগজ, কলম ও চায়ের কাপে গল্পের মেলবন্ধনে সদস্যরা মেতে উঠেছিলেন প্রাণবন্ত আলোচনায়।
Advertisement
বইমেলার প্রাণচঞ্চল আবহে আর বইয়ের নেশায় একঝাঁক তরুণ লেখক সকাল ১১টায় মেলার প্রবেশপথে একত্রিত হন। উপস্থিত ছিলেন লেখক ফোরামের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানজিদ শুভ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইছামতি টিমের লিডার তামান্না আক্তার। এ সময় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন সদস্যের পাশাপাশি শাখার প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, কার্যনির্বাহী সদস্য বাঁধন বৈষ্ণব উপস্থিত ছিলেন।
আড্ডার শুরুতেই নিজেদের পরিচয় ও বইমেলা ঘিরে অনুভূতি শেয়ার করেন। কেউ শৈশবের বইমেলার স্মৃতি তুলে আনেন, কেউ সাম্প্রতিক পাঠপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন। বিশেষ করে, লেখালেখির পথচলায় বইমেলার গুরুত্ব নিয়ে চলে এক গভীর আলোচনা। বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের সাজ সাজ উৎসবের ভিড়ে বাদ যায়নি সুন্দরবন দিবসের আলোচনাও।
আরও পড়ুন
Advertisement
লেখালেখি কেবল একক যাত্রা নয় বরং এটি একসময়ের ভাবনার ফসল। যা সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হয় শব্দের শিল্পে। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে সদস্যদের কথোপকথনে। লেখালেখির আনন্দ, প্রকাশনার চ্যালেঞ্জ, বইমেলায় লেখকের অনুভূতি—সবই উঠে আসে আড্ডার আলোচনায়।
এ ছাড়া তরুণ লেখকরা কীভাবে নিজেদের লেখনীকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন, কীভাবে গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করে লেখার মানোন্নয়ন করা যায়—এসব নিয়েও সদস্যদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়।
এ সময় মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখার পাশাপাশি পছন্দমতো বই কেনেন এবং শাখার পক্ষ থেকে সদস্যদের প্রকাশিত বইসমূহ সংগ্রহ করা হয়। এ আয়োজন শুধু বইমেলা পরিদর্শন নয় বরং এটি তরুণ লেখকদের মধ্যে এক নতুন সাহিত্যিক বন্ধন তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এ উদ্যোগ আগামীতেও চলমান থাকবে। তরুণদের সাহিত্যচর্চার অগ্রযাত্রায় এ ধরনের মিলনমেলা এক অনবদ্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
Advertisement
এসইউ/এমএস