দেশজুড়ে

থানার গেট ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) শ্রমিক মেহেদী হাসান নাইম হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

Advertisement

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঈশ্বরদী থানার সামনে ও ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের গোকুলনগর এলাকায় এ বিক্ষোভ হয়। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

এলাকাবাসী জানান, ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন মেহেদী হাসান নাইম। ৮ জানুয়ারি পদোন্নতি নিয়ে কোম্পানির এডমিন মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় তাকে কয়েকজন মিলে পিটিয়ে আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় নাইমের বাবা মো. মাসুদুল হক মোক্তা ঈশ্বরদী থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে তিনজনের নামে হত্যা মামলা হয়। মামলার অন্যতম আসামি হাবিবুর রহমান হাবিবকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারই প্রতিবাদে নিহত নাইমের স্বজন ও এলাকাবাসী থানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

Advertisement

এদিকে মামলা তুলে নিতে বাদীকে মিজানুর রহমান মিজান প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন নিহত নাইমের চাচা শাকিল হোসেন।

তিনি বলেন, ছয়জনের নামে লিখিত অভিযোগ দিলে এর মধ্যে তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। আর অন্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোম্পানির এডমিন এ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। আমরা এ হত্যার বিচার পাবো কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, নাইম হত্যার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এডমিন হিসেবে দায়িত্বরত আছি বলেই হয়তো তারা আমার নামটা নিয়ে আসছে। তবে প্রশাসন এ ঘটনার তদন্ত করছে, দেখা যাক কি হয়। আর মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, মামলার অন্যতম আসামি হাবিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলমান। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। আর বাদীকে হুমকির যে বিষয়টি তারা বলছে, সেটা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Advertisement

শেখ মহসীন/জেডএইচ/জেআইএম