সোশ্যাল মিডিয়া

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা দেখছি না

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আমরণ অনশন, সড়ক অবরোধের মতো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। সেই সঙ্গে ‘শিক্ষার্থী ভার্সেস সাধারণ জনগণ’ এমন একটি টার্ম সুপ্রতিষ্ঠিত করার চক্রান্ত চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

Advertisement

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান তিনি।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘গত বছর কলেজে কলেজে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছিল।কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মারামারি লাগানো হয়েছে। চক্রান্ত থেমে নেই। দেশের আপামর জনগণ এবং শিক্ষার্থীবৃন্দকে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত।’

তিনি লেখেন, ‘সম্প্রতি সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সাতটি দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এর মধ্যে তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে, কলেজটিকে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন, সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ঢাকার সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। অত্র কমিটিতে তিতুমীর কলেজের বিষয়টিকে বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কাজেই সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারী ভাই-বোনদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। গোলটেবিলে বসেই যে বিষয় সমাধান করা যায়, সেটার জন্য রাজপথে আন্দোলন করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’

Advertisement

আব্দুল হান্নান মাসউদ আরও লেখেন, ‘লাইফ লাইন নামে খ্যাত ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করেছেন। এতে দেশের ইকনোমিতে কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। গত বছর নভেম্বর মাসে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলগেট অবরোধ করেন এবং চলন্ত ট্রেনে ইট-পাথর নিক্ষেপ করায় শিশুসহ কয়েকজন আহত হন। এতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন নাই? ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঢাকা মহানগরের ব্যস্ততম রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখার কারণে হাজার হাজার মানুষ নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছেন। ফলে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা জ্যামিতিক হারে হ্রাস পাচ্ছে।’

তিনি লিখেছেন, ‘তিতুমীর কলেজের কোনো শিক্ষার্থী চলন্ত ট্রেনে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে পারে? অনুপ্রবেশকারী থেকে সাবধান হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে জনজীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করাকে আমি প্রাসঙ্গিক মনে করছি না।অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যেটির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে না এবং শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করার জন্য আবারও অনুরোধ করছি। শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’

এনএস/ইএ/জেআইএম

Advertisement