চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ছয়মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। কেবল ঘাটতি নয়, একই সময়ে গত অর্থবছরের চেয়েও রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
Advertisement
চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর, মূসক ও শুল্ক এই তিন খাত মিলিয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময় আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আবার গত অর্থবছর একই সময় রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা, যেখানে চলতি অর্থবছর ছয়মাসে আদায় ১ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এনবিআর কর্মকর্তাদের দাবি অস্বাভাবিক লক্ষ্যমাত্রার কারণে ঘাটতি বাড়ছে। এছাড়া জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদায় কমে গেছে। সব কিছু বিবেচনা চলতি জানুয়ারি মাসে এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে।
Advertisement
পরিসংখ্যান বলছে, আয়কর ও শুল্কে সামান্য প্রবৃদ্ধি হলেও মূসক বা ভ্যাটের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক।
আয়কর খাতে ছয়মাসে চলতি অর্থবছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬ হাজার ৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫২ হাজার ১৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যেখানে গত অর্থবছর একই সময় আদায় হয়েছে ৫০ হাজার ৮৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
অন্যদিকে কাস্টমস খাতে প্রথমার্ধে ৬১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৯ হাজার ৮০ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছর একই সময় আদায় হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা টাকা। প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।
আর ভ্যাট খাতে ৭৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৫ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছর একই সময় আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ৩৬০ কোটি লাখ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাট খাতে প্রথমার্ধে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
Advertisement
আলোচ্য সময়ে ১২ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা শুল্ক, ২১ হাজার ১৪০ কোটি টাকার মূসক ও ২৩ হাজার ৯০৬ কোটি টাকার আয়কর আদায় করতে পারেনি এনবিআর।
এসএম/এমআইএইচএস