কুমিল্লায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে যৌথবাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামকে নির্যাতনের পরে হত্যার যে অভিযোগ উঠেছে, এটা ভালো লক্ষণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
Advertisement
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, মৃত বা নির্যাতনের কারণে নিহত হওয়া তৌহিদুল ইসলাম অপরাধী কি না তা আমরা বা দেশবাসী অবহিত নই। কিন্তু তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মীই নন, দেশের একজন সম্মানিত নাগরিকও। তিন কন্যাসন্তানের জনক। বাবার কুলখানিতে যোগ দিতে আসা তৌহিদুল ইসলামকে যৌথবাহিনী কেন গভীর রাতে আটক করলো? দেশের মানুষ সরকারের কাছে তার আটকের কারণ জানতে চায়। একজন নাগরিককে যদি কোন কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেই তবে তার শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন কেন থাকবে? তবে কি নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশ্যে তিন কন্যাসন্তানের জনক তৌহিদুল ইসলামকে যৌথবাহিনী আটক করেছিল?
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, আমরা অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের মতো নতুন করে কোনো মায়ের সন্তান, স্ত্রীর স্বামী ও সন্তানের বাবা হারানোর ঘটনা দেখতে ও শুনতে চাই না।
Advertisement
যৌথবাহিনী কি এখনো মানুষ হত্যায় জড়িত? নিহতের স্ত্রী ও তিন কন্যার কাছে অন্তর্বর্তী সরকার কী জবাবদিহি করবে? দেশের জনগণ তা জানতে চায়। ৫ আগস্ট পরবর্তীসময়ে দেশের মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবা না দিয়ে এভাবে নির্যাতন, হত্যা ও হয়রানি যদি করে তবে পরিবর্তন কি হলো?
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে ভবিষ্যতে নাগরিকদের সেবার পরিবর্তে হয়রানি না করে সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
এএএম/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement