প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে যোগ্য ও মেধাবী সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া প্রয়োজন। অযোগ্যদেরকে পদোন্নতি দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন কোনোক্রমেই আশা করা যায় না। যেহেতুু ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নিত করা হচ্ছে, তাই যোগ্যতা সম্পন্ন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিলে সঠিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করা কঠিন হবে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যে সকল সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে তাদের বেশির ভাগই উচ্চতর ডিগ্রিধারী। স্বাভাবিক কারণেই উচ্চ শিক্ষিত সহকারী শিক্ষকরা তাদের চেয়ে কম শিক্ষিত প্রধান শিক্ষকের অধীনে চাকরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। ফলে বিদ্যালয়ের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই দক্ষতার সাথে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির নিম্নে উল্লেখিত প্রস্তাবটি সুবিবেচনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রস্তাবনা :যোগ্যতা : চার বছর মেয়াদী অনার্স অথবা এমএ অথবা বিএ (বিএড/সিইনএড) অথবা সমমানের যোগ্যতা। কোন তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়।অভিজ্ঞতা : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরকারি চাকরির বয়স কমপক্ষে ৭ বছর থাকতে হবে।পুরাতন সরকারি ও নতুন জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ৩ অথবা ৪ জন ধরে গ্রেডেশন তালিকা তৈরি করে অথবা সরকারি চাকরির বয়স যাদের ৭ বছর হয়েছে তাদের সকলকেই বিভাগীয় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দিয়ে মেধাবী সহকারি শিক্ষকদেরকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।যেহেতু প্রাথমিক শিক্ষা হবে ৮ম শেণি পর্যন্ত তাই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে।পরিশেষে, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে উপরোক্ত প্রস্তাবটি বিবেচনায় নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী, সম্মানিত মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ প্রাথমিক শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।লেখক : সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, নালিতাবাড়ী, শেরপুর।এসএইচএস/এবিএস
Advertisement