দেশজুড়ে

হাবিপ্রবির ৪ কর্মকর্তাকে পুলিশে দিলেন বৈষম্যবিরোধীরা

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) চার কর্মকর্তা ও এক ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

Advertisement

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় ওই কর্মকর্তাদের কর্মস্থল থেকে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা।

এর আগে গত রোববার দিনগত রাতে জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে রামিম হোসেন নামে এক ছাত্রকে তারা প্রশাসনের হাতে তুলে দেন।

পুলিশে সোপর্দ কর্মকর্তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ড এক্সটেনশন কর্মকর্তা (ফিশারিজ) রাব্বি শেখ, শেখ শাহ আসাদুল্লাহ সালেহীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম সিকদার ও শাখা কর্মকর্তা ইলিয়াস দেওয়ান। তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির বিভিন্ন পদে ছিলেন। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া রামিম হোসেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

Advertisement

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যোগ্যতা না থাকার পরও বিগত সরকারের দোসর হয়ে তারা বিভিন্ন পদে চাকরি নিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে আসতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তারপরও তারা অফিসে আসছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সম্মানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে নিয়ে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের হাতে তুলে দেন।

এদিকে শিক্ষার্থী রামিম হোসেনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুর ১২টায় উপাচার্যের কক্ষের সামনের দরজায় অবস্থান নেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শামসুজ্জোহা বলেন, গত রোববার রাতে একটি আবাসিক হলে রামিম হোসেনকে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আটক করে প্রশাসনকে জানান। এ ছাড়া দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কর্মকর্তা হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকা ও ছাত্রলীগের পদধারী হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে দিয়েছেন।

দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার কর্মকর্তাকে আটক করে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি। তাদের প্রত্যেকের নামে থানায় আগের মামলা আছে। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনায় যুক্ত থাকায় আজ নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করার হয়েছে। বিকালে তাদের কোর্টে চালান দেওয়া হলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর দিনাজপুরে ট্রাক টার্মিনাল চত্বরে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এমএস