জনগণের চোখে ধুলা দেয়ার জন্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গণশুনানির একটি নাটক মঞ্চায়ন করেছিল-এমন মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, গণশুনানির কোনো আবেদন তারা জনগণের কাছে তৈরি করতে পারেনি।
Advertisement
মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (সিজিআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনে গণমাধ্যমে ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণশুনানিতে দেখেন সবাই গণঘুমানিতে ব্যস্ত ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম গণশুনানির সময় তারা সবাই ঘুমাচ্ছে। জনগণের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য গণশুনানির একটি নাটক মঞ্চায়ন করা হয়েছে। গণশুনানির কোনো আবেদন তারা জনগণের কাছে তৈরি করতে পারেনি।’
বিএনপি নেতাদের কার কী ভূমিকা সে বিষয়ে শুনানি করা প্রয়োজন এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দলের একজন নেতাই বলেছেন গণশুনানি করার পাশাপাশি তাদের নেতাদের শুনানি করা প্রয়োজন কার, কী ভূমিকা ছিল। আমি মনে করি আগে তাদের নেতাদের শুনানি করা প্রয়োজন কার, কী ভূমিকা ছিল বা আছে।’
Advertisement
বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠকের সমালোচনা করে হাছান মুহমুদ বলেন, জনগণই ক্ষমতার মালিক। জনগণের বাইরে অন্য কেউ ক্ষমতার মালিক নন। বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের ঘন ঘন বিদেশিদের সঙ্গে দেখা করার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পায়।
এ সময় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে জনগণের কাছে ধর্ণা দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা দেশে কোনো কিছু হলেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়। এটি দেশকে শুধু ধর্ণা করে তা নয়, তাদের নিজেদের এবং তাদের দলকেও অপমানিত করা হয়। আমি মনেকরি ধর্ণা দেয়া উচিত জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়। কারণ রাষ্ট্রের ও ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। তারা জনগণের দল হতে চাইলে ধর্ণা দেবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে কেন?।
সিজিআরএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনের গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এমইউ/এমএএস/এমএমজেড/পিআর