‘কিছু মনে করবেন না, কী বলবেন তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন, কথা বলার সময় নাই, এখনও অনেক কাজ বাকি। এখন ভোটপ্রদান সামগ্রীগুলো দ্রুত বুঝে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে ভোটদানকক্ষ প্রস্তুতসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
Advertisement
শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল প্রাঙ্গণে ঢাকা-৮ আসনে মতিঝিলের একটি কেন্দ্রের একজন প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে এ প্রতিবেদক কথা বলতে চাইলে ঠিক এভাবেই উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মাত্র কিছুক্ষণ আগেই তিনি এ স্কুলের ভেতর নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স, অমোচনীয় কালি, মার্কার কলম, কলম, আঠা, পর্দা, সুই, সুতলি বুঝে নেন। স্কুলপ্রাঙ্গণে দাঁড়িয়েই হাতে ফর্দ নিয়ে তিনি ভোটপ্রদান সামগ্রী সব ঠিক আছে কি না তা মিলিয়ে দেখছিলেন। এরপর বাইরে এসে বাসের খোঁজ করতে থাকেন। পুলিশি প্রহরায় সেগুলো বাসে তোলা হয়।
শুধু ওই প্রিজাইডিং অফিসার একাই নন, তার মতো এ আসনে আগামীকালের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা ঠিক এমনিভাবে নিজ নিজ কেন্দ্রের ভোটারসামগ্রী বুঝে নিচ্ছিলেন।
Advertisement
সরেজমিন দেখা গেছে, কাকরাইল মোড় থেকে রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেল পর্যন্ত উত্তর পার্শ্বের রাস্তাজুড়ে সারিবদ্ধভাবে বাস দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিটি বাসের সামনের কাঁচের গ্লাসের গায়ে সিরিয়াল নম্বর, চালকের নাম, মোবাইল নম্বর, বাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআইয়ের নাম ও মোবাইল নম্বর, কেন্দ্রের নাম, মোট ভোটার (পুরুষ ও মহিলা) ও ম্যানেজারের নাম ও মোবাইল নম্বর দেয়া রয়েছে।
ভোটপ্রদান সামগ্রী বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কিংবা তার প্রতিনিধিরা ভোটপ্রদান সামগ্রী বুঝে নিয়ে পুলিশি প্রহরায় বাসে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে তারা ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা, বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টদের তালিকা প্রস্তুতসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেবেন।
কারণ আগামীকাল (রোববার) সকালে বহুল প্রতীক্ষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
এমইউ/বিএ/এমএস
Advertisement