বাড়িতে কোনো টয়লেট নেই। আর বাড়ির চারপাশে সবসময় জমে থাকে পানি। দীর্ঘ পথ হেঁটে দূরে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়। কিন্তু বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় যেতে লজ্জা লাগে ১৬ বছরের কিশোরীর। যে কারণে পরিবারের কাছে আকুতি করে বাড়িতে টয়লেট বানিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু কেউই তার কথার গুরুত্ব দেয় না। অবশেষে অভিমান আর লজ্জায় সে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।
Advertisement
এভাবেই একটি টয়লেটের অভাবে আত্মহত্যা করে ভারতের উত্তরপ্রদেশের হেমা যাদব নামের এক কিশোরী। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করতো সে। ফিরোজাবাদ জেলা পুলিশ সুপার মহেন্দ্র সিং বলেছেন, জেলার শিকোহাবাদ শহরের সিবনগর এলাকায় মেয়েটির বাড়ি। তার মা মঞ্জু দেবীকে বারবার টয়লেট নির্মাণের অনুরোধ করলেও পরিবারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই অভিমান আর লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে সে।
আরও পড়ুন : স্যুপে মৃত ইঁদুর ঘিরে তোলপাড়
কিশোরীর মা বলেন, বাড়িতে একটি টয়লেট বসানোর জন্য বহুবার সে অনুরোধ করেছিলো। কিন্তু বাড়িতে টয়লেট নির্মাণ করে সেটি ব্যবহার করার চেয়ে দূরের মাঠে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিলো তাকে। আর সেখানেই আপত্তি ছিল মেয়ের।
Advertisement
পুলিশ বলছে, আত্মহত্যার দিন বাড়ির কাজে বাইরে ছিলেন কিশোরীর মা মঞ্জু দেবী। বাড়িতে একাই ছিল সে। বেশ কিছুক্ষণ পর তার মা বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু অনেক ডাকাডাকি করার পরও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে দরজা ভাঙেন। ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখেন সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে কিশোরীর মৃতদেহ।
এ ঘটনার পর বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ওই কিশোরীর মৃতদেহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement