স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আমার চক্ষু, রক্তদান, দেখবে ভুবন বাঁচবে প্রাণ’।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সংম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মো. হাবিবুর রহমান খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী। স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজকে স্বেচ্ছা সেবার মাধ্যমে একটি জনপ্রিয় আন্দোলনে গড়ে তুলেছে তারা। এর স্বীকৃতি হিসেবে সরকার ২ নভেম্বরকে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ সংক্রান্ত জাতীয় দিবস ঘোষণা করে প্রতিবছর পালন করে আসছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, দেশে অন্ধ জনসংখ্যা প্রায় চৌদ্দ লাখের বেশি। এরমধ্যে প্রায় ৫ লাখ ব্যক্তির অন্ধত্ব কর্নিয়াজনিত। এ সংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর আরও নতুন করে যোগ হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার। সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি দেশে কর্নিয়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান।
হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে, যার ২ শতাংশ কর্নিয়া সংগ্রহ করা সম্ভব হলে বছরে ৪০ হাজার কর্নিয়া পাওয়া যাবে। এ ন্যাশনাল প্রজেক্ট টু অ্যালেভিয়েট কর্নিয়াল ব্লাইন্ডনেস ফ্রম বাংলাদেশ-শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ধানী ৮০০ স্বেচ্ছাসেবীকে প্রশিক্ষণ দেবে, যারা মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে গিয়ে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে কর্নিয়া দানের অনুরোধ করবে।
Advertisement
সবাইকে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান এবং মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-পরিজনদের কাছে কর্নিয়া দানের কথা বলার অভ্যাস করারও আহ্বান জানান অতিরিক্ত সচিব।এ সময় লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/ওআর/জেআইএম