মিয়ানমারের নির্যাতিত ও গণহত্যার শিকার মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছেন সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। শুক্রবার দুপুরে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-হেফাজত-জাতীয় পার্টি-জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার দাবি জানান।সমাবেশ থেকে সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাম্প্রতিক অতীতে সিলেটের বিভিন্ন দলের নেতাদের এভাবে একই সমাবেশে একই সুরে কথা বলতে দেখা যায়নি।সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর ইমাম সমিতি, সিলেট। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার দাবি জানান। নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। কামরান বলেন, অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার দাবি এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের। সরকার প্রধান ও বর্তমান সরকার এসব অসহায়দের আশ্রয় দেয়ারও চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে সাধারণ মানুষও সরকারকে সহযোগিতা করবে।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিশ্বের কোথাও মুসলমান হত্যা হলে জাতিসংঘ শক্তিশালী ভূমিকা রাখে না। আমরা জাতিসংঘের মায়াকান্না দেখতে চাই না। অবিলম্বে জাতিসংঘকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে মিয়ানমারে মুসলমান হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে এই সমাবেশে একজন মুসলমান হিসেবে ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে আমি উপস্থিত হয়েছি। এই গণহত্যা ও রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের ভূমিকার সমালোচনাও করেন আসাদ।সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম ও জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর বিএনপি নেতা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাড. আব্দুল কাইউম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেতা হাফেজ আবদুর রহমান সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস
Advertisement