জাতীয়

আওয়ামী লীগের দুর্নীতির পরিমাণ ১৪টি মেট্রোরেলের খরচের সমান

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতের দুর্নীতির পরিমাণ ১৪টি মেট্রোরেল বা ২৪টি ব্রিজের খরচের সমান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

Advertisement

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সংকট থেকে উত্তরণের টাস্কফোর্সের উল্লেখযোগ্য সুপারিশসমূহে’ দুর্নীতির এ তথ্য তুলে ধরা হয় বলে জানান শফিকুল আলম।

রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের সুপারিশে তুলে ধরা হয়েছে, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতের দুর্নীতির পরিমাণ ১৪ টি মেট্রোরেল বা ২৪টি ব্রিজের খরচের সমান। হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে ১৩ দশমিক ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতার সুবিধাভোগী নির্বাচনে দুর্নীতি হয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত যাদের ভাতা দেওয়া হয়েছে তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ গরিব নন।

Advertisement

আরও পড়ুন

আ’লীগের আমলে পাচারের টাকায় ছড়ানো হচ্ছে প্রোপাগান্ডা: শফিকুল আলম জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের, সেটি সুচারুভাবে করতে চাই আগামী ডিসেম্বর বা পরের বছরের মার্চে হবে নির্বাচন

প্রেস সচিব বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির প্রধান পথ ছিল ৪টি। এগুলো হলো- আর্থিক খাত, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি, অযৌক্তিক করছাড় এবং সরবরাহ ব্যবস্থার ত্রুটি। বিগত সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে শ্বেতপত্রের পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে বিগত সরকারের দুর্নীতির গভীরতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে যেসব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয় তা হলো- ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পে গড়ে ৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক প্রভাব ও অযৌক্তিক প্রকল্প ব্যয়ের মাধ্যমে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান অর্থ অপচয়, দেশীয় উৎপাদন ও সরবরাহের অসত্য উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে অর্থনীতি সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রদান।

এমইউ/ইএ/এমএস

Advertisement