মসজিদে ঢুকে সাথে সাথে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়াকে ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ বা ‘দুখুলুল মসজিদ’ বলা হয়। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ নফল নামাজ। আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন,
Advertisement
إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ الْمَسْجِدَ فَلَا يَجْلِسْ حَتَّى يُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِতোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকাত নামাজ আদায় করার আগে যেন না বসে। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)
তাই মসজিদে নববিসহ অন্য যে কোনো মসজিদে প্রবেশ করলে সেটা যদি মাকরুহ ওয়াক্ত না হয়, তাহলে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা সুন্নত। তবে মসজিদুল হারামে প্রবেশকারীদের জন্য সব সময় ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ হিসেবে নামাজ আদায় করা সুন্নত নয়। কেউ যদি তাওয়াফের উদ্দেশ্যে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে, তার জন্য তাওয়াফই ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ গণ্য হয়। তার ক্ষেত্রে তাওয়াফের আগে দুই রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ নামাজ আদায়ের হুকুম নেই।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতেন, তখন সর্বপ্রথম অজু করতেন তারপর তাওয়াফ করতেন। (সহিহ বোখারি: ১৬৪১)
Advertisement
মসজিদুল হারামে প্রবেশকারীর যদি তাওয়াফের ইচ্ছা না থাকে কিংবা এমন সময় প্রবেশ করে যে সময় তাওয়াফের জন্য উপযোগী নয়, ওই ব্যক্তির জন্য ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ অন্য মসজিদের মতোই দুই রাকাত নামাজ। মাকরুহ ওয়াক্ত না হলে ওই ব্যক্তির জন্য দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত।
অর্থাৎ মসজিদুল হারামে প্রবেশকারীর তাওয়াফের ইচ্ছা থাকলে সুন্নত হলো দুই রাকাত নামাজ আদায় না করেই তাওয়াফ শুরু করা আর তাওয়াফের ইচ্ছা না থাকলে সুন্নত হলো দুই রাকাত নামাজ আদায় করা।
মসজিদুল হারামে নামাজ আদায়ের ফজিলতকাবা সংলগ্ন মসজিদুল হারাম ইসলামে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ মসজিদ। মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করার সওয়াব অন্যান্য মসজিদে নামাজ আদায়ের চেয়ে অনেক বেশি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন,
صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَفْضَلُ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ
Advertisement
আমার এ মসজিদের নামাজ মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদের এক হাজার নামাজের চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ। অন্যান্য মসজিদের নামাজের তুলনায় মাসজিদুল হারামের নামাজ এক লক্ষ গুণ বেশি ফজিলতপূর্ণ। (সুনানে ইবনে মাজা ১৪০৬, মুসনাদে আহমাদ: ১৪৬৯৪)
ওএফএফ/জেআইএম