সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধে এক হাজার ৬৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৯১ জন।
Advertisement
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
ইনামুল হক সাগর বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৯১ জন। এছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টমূলে গ্রেফতার করা হয়েছে এক হাজার ৯৫ জনকে।
২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে যত অস্ত্র উদ্ধারএকটি বিদেশি পিস্তল, একটি চায়নিজ রাইফেল (পুলিশের কাছ থেকে লুটকৃত অস্ত্র), দুটি এলজি, চারটি ওয়ান শুটারগান, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২০টি ককটেল, ৬টি ছুরি, একটি তলোয়ার, একটি হাতুড়ি, একটি গুটি রেঞ্জ, একটি প্লাস, একটি সেলাই রেঞ্জ, লোহার দুটি পাইপ, একটি কাটার এবং তিনটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
ডেভিল অর্থ ‘শয়তান’ এবং হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্টের বাংলা অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, ওই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন, যাদের একজন আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামের বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
টিটি/কেএসআর/জেআইএম
Advertisement