বর্তমানে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ শিক্ষাজীবন শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ২৭-২৮ বছর। এই দীর্ঘ শিক্ষাজীবন শেষে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে প্রবেশের প্রস্তুতি শুরু করতে না করতেই জীবনের সব স্বপ্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার যবনিকাপাত ঘটে সরকারি বাধ্যবাধকতার কারণে। যখন একজন তরুণের দেশমাতৃকার কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার কথা, তখন আত্মগ্লানিতে ভুগে সে হতাশাগ্রস্ত জীবন পার করে।বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৭ বছর। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫৭ থকে ৫৯ বছর, যা ৬১ তে উন্নীত করার আলোচনা চলছে। অন্যদিকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬৫ বছর এবং বিচারকদের ৬৭ বছর। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০-এর বেশি, বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪০ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর এবং ইন্দোনেশিয়ায় ও ইতালিতে ৩৫ বছর, তখন জনবহুল এই বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর কাম্য হতে পারে না।বর্তমান সরকার নার্সদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স যেমন ৩৫ বছরে উন্নীত করেছে, তেমনি তারা সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়টি ভেবে দেখবে কি?লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।এসইউ/পিআর
Advertisement