বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নে জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যা নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এক সমর্থকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের ৩নং রাবার বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
জয়মনি কুহালং ইউনিয়নের ৩নং রাবার বাগান এলাকার ক্ষেতমনি তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। এর আগে, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী এলাকায় বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩১) নামে এক জেএসএস সমর্থককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানপ্রু জানান, রাবার বাগান এলাকায় জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যার চায়ের দোকান ছিল। প্রতিদিনের মতো আজও দোকানে ব্যবসা করছিল সে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন অপরিচিত লোক তাকে চায়ের দোকান থেকে কিছুটা দূর ডেকে নিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে গুলির আওয়াজ শুনে এলাকাবাসী এলাকার জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দেয়। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, রাবার বাগান থেকে জয়মনি নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে এখন বলা যাচ্ছে না।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে উপজেলার রাজবিলার তাইংখালীর দাদাশ্বশুরের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বিনয় তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও একই দিন রাতে উপজেলার শৈলতানপাড়া থেকে পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পুরাধনকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের দলছুট বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির (এএলএ) সদস্য বা বান্দরবানে নতুন করে সক্রিয় হওয়া জেএসএস (সংস্কার) এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। নিহত বিনয় ও অপহৃত পুরাধন জেএসএসের কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত ১৪ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা তাইংখালী বাজারে অংক্যচিং নামের জেএসএসের এক নেতাকে গুলি করলে সে মারাত্মক আহত হয়। বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্ত সংলগ্ন রাজবিলা এলাকাটিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে জনসাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।
সৈকত দাশ/বিএ
Advertisement