বিনোদন

অর্থের অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা, সাহায্য চান তবলা বাদক জনি

সুরের আলো ছড়িয়ে বেড়ানো মানুষটির বসবাস এখন আঁধারের মধ্যে। কারণ চোখের আলো হারিয়ে যাচ্ছে তার। হাজার হাজার মানুষের সামনে তবলা বাজাতেন যিনি, তিনি এখন ঘরে বসেই তবলা বাজান একা একা। মাঝে মধ্যে গুন গুন করে গান করেন। এই মানুষটির নাম গোলাম সরোয়ার জনি। শুধু তবলা বাদকই নন, একই সঙ্গে গীতিকার ও সুরকার তিনি।

Advertisement

৯০ দশকের অনির্বান অ্যালবাম, স্কাউটের গানসহ বেশ কিছু গানের গীতিকার ও সুরকার জনি জীবনের এই প্রান্তে এসে এখন চোখের দুরারোগ্য ‘গ্লুকোমা’ রোগে ভুগছেন। যার কোনো উন্নত চিকিৎসা নাকি এই দেশে নেই। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে তার সংসারে এখন অভাব আর অভাব। টানা পোড়েনের মধ্য দিয়ে চলছে দুই মেয়ের পড়া-লেখার খরচ।

জনি সুস্থ হয়ে না উঠলে এই ভাবে আর কতো দিন চলবে। তাই অবশেষে সহযোগীতা চাইলেন এই গুণী মানুষটি। এমন অবস্থায় জনির স্ত্রী সাফিয়া আক্তার এদেশের সকল শিল্পী ও মিউশিয়ান সহ প্রধানমন্ত্রী ও এই দেশের হৃদয়বান, দানশীল মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

গোলাম সরোয়ার জনির স্ত্রী সাফিয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘ ৮ বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। চোখে গ্লুকোমা হয়েছে। দেখতে পান না। মোহাম্মদ পুর আল নূর হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে। ডাক্তার বলেছেন, এই চিকিৎসা এখানে হয় না। হাজারে এক জনের এই নাকি রোগ হয়। ধীরে ধীরে চোখের জ্যোতি হারিয়ে যাচ্ছে তার।’

Advertisement

সাফিয়া আক্তার আরও বলেন, ‘চিকিৎসা করাতে গিয়েই হিম শিম খেতে হচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা নেই আমার। টাকার অভাবে চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হবার যোগাড়। এই বিপদের সময় কেউ যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ান তাহলে হয় তো তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠবেন। পরিবারে তিনিই উপার্জন করতেন। এখন কাজ করতে পারেন না। তাকে সুস্থ করে না তুলতে পারলে চলবে না আমাদের!’

সাফিয়া আক্তার জানালেন, তাদের দুই মেয়ে। ছোয়া ও ছায়া। বড় মেয়ে বোরহান উদ্দিন বিশ্ব বিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর ছোট মেয়ের সামনে এসএসসি পরীক্ষা দিবে। কেউ সহযোগীতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন, গোলাম সরোয়ার জনি'র স্ত্রী সাফিয়া আক্তার (মোবাইল নং- 01862120576)।

এমএবি/এলএ/এমএস

Advertisement