আইন-আদালত

আবরার হত্যা : কনডাক্টর-হেলপারের স্বীকারোক্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় সু-প্রভাত বাসের কনডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত ও হেলপার ইব্রাহিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাদের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী কনডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত ও ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী হেলপার ইব্রাহিমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে ২৭ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Advertisement

২৬ মার্চ দিবাগত রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার সুচিপাড়ার মিজানের ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে কনডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত ও তার দেয়া তথ্যানুযায়ী ২৭ মার্চ সকালে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকা থেকে হেলপার ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়।

২৮ মার্চ চালক সিরাজুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ২০ মার্চ সিরাজুল ইসলামের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৯ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।

এদিন দিবাগত রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহাম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার সহকারী, কন্ডাক্টর ও মালিককে। মামলার ধারা পেনাল কোডের ২৭৯/ ৩৩৮ (ক)/৩০৪/ ও ১০৯ । মামলা নং ৩০।মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, বাসটির চালক বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে বাড্ডার দিক থেকে প্রগতি সরণি রোড দিয়ে কুড়িলের দিকে যাওয়ার পথে গুলশান থানাধীন শাহজাদপুরের বাঁশতলায় পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) চাপা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

আবারও বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাড়ি চালিয়ে গুলশান থানাধীন নর্দ্দা আইকন টাওয়ারের সামনে প্রগতি সরণির পাকা রাস্তার ওপর জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় আমার ছেলে আবরার আহাম্মেদ চৌধুরীকে চাপা দিয়ে বাস তার মাথার ওপর দিয়ে চালিয়ে যায়। ফলে তার মাথা থেতলে মগজ বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

Advertisement

২০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

জেএ/জেএইচ/পিআর