অভ্যন্তরীণ বাৎসরিক মূল্যায়ন ও পরিকল্পনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 'সংগঠকের গুণগতমান বৃদ্ধি করি, সংগঠনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করি'-এ শ্লোগান নিয়ে শুক্রবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়।
Advertisement
স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশের সমাজ উন্নয়নে নারীরা পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাগত বিশেষ করে গামেন্টস সেক্টর ও কৃষি ক্ষেত্রে বহুমুখী দায়িত্ব পালনসহ রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে জাতীয় ক্ষেত্রে যে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেখানে নারীসমাজের ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ রয়েছে। কিন্তু নারীর জীবনমানের উন্নতির ক্ষেত্রে তা কতটুকু প্রভাব রাখছে তা ভেবে দেখার বিষয়।
ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শারলোতা স্লাইটার বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে সুশাসন একটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সুইডেনে সমাজ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নারীআন্দোলন বড় ভূমিকা রেখেছিল, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা হতে পারে। বাইরের কাজের পাশাপাশি ছেলেদের ঘরের কাজে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। ঘরের কাজের পাশাপাশি মেয়েদের বাইরের কাজে অংশগ্রহণের হার বাড়াতে হবে। এভাবে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির ক্রমপরিবর্তন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আয়শা খানম বলেন, সরকার ও রাজনীতিতে নারীর পদায়ন নয়, প্রকৃত অর্থে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন দরকার। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীদের সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
Advertisement
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের ৫৩টি জেলা শাখার ৩৪৮জন প্রতিনিধি এবং উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ও সদস্যরা অংশ নেন।
এএস/এমএমজেড/পিআর