দূষণে ঝাপসা হয়ে যাওয়া দিল্লির ছবি দেখে কলকাতাবাসী নিশ্চিন্তে ছিলেন। কিন্তু আর স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না তারা। দেখতে দেখতে দূষণে দিল্লিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে কলকাতা। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বুধবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পরিবেশমন্ত্রী।
Advertisement
কলকাতার বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমান এখন দিল্লির চেয়েও বেশি। পরিবেশবিদরা বলছেন, এর প্রধান কারণ ডিজেল চালিত গাড়ির ধোঁয়া, কাঠ কয়লার ব্যবহার আর রাস্তার ধুলা-বালি।
পরিবেশ দফতরের হিসাব অনুযায়ী, শহরের রাস্তার ধুলা-বালি, কয়লাজাত দ্রব্য বা জ্বালানি থেকে দূষণ, পাতা ও গাছের গুঁড়ি পোড়ানোয় দূষণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
প্রত্যেকদিনের গড় হিসেবে শ্যামবাজারে ৬৩২ দশমিক ৫ মাইক্রোগ্রাম, বন্দর এলাকায় ৬শ মাইক্রোগ্রাম, ডানলপে ৪৫৬ মাইক্রোগ্রাম, চেতলায় ৩৮৪ মাইক্রোগ্রাম, মৌলালিতে ৩৭৩ মাইক্রোগ্রাম, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম, হাওড়া স্টেশন চত্বরে ৪৪০ মাইক্রোগ্রাম, ধর্মতলায় ৫৩০ মাইক্রোগ্রাম দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে।
Advertisement
পরিস্থিতি সামলাতে ১৫ বছরের পুরনো সব গাড়ির শহরে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৯ জানুয়ারি বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছে শহরের নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিদের। এই বৈঠকে দূষণ সামলাতে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হতে পারে।
যারা ফুটপাথের দোকানে কয়লার চুলায় রান্না করেন, তাদের ইলেকট্রিক হিটার বা কুকার দেওয়া হবে। পৌরসভার তরফ থেকে প্রতিদিন রাস্তায় পানি দেওয়া হবে এবং গাছ পরিষ্কার করা হবে।
গাছের গুঁড়ি, পাতা, প্লাসটিক পোড়ালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হবে। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও তুলে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা করা হবে। শহরের ঢেকে রেখে সব নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। এই প্রস্তাবগুলো রাজ্য পরিবেশ দফতরের ডাকা ৯ জানুয়ারির বৈঠকে গৃহীত হতে পারে। তাতে হয়তো কিছুটা হলেও দূষণ ঠেকানো যাবে।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement