মামলা হয়েছিল ধর্ষণের। কিন্তু অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গেই আইনজীবী ও পুলিশ বিয়ে দিল তরুণীর। শুক্রবার সকালে ভারতের বনগাঁও মহকুমা আদালত চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় তাদের বিয়ে হয়। লাল রঙের তাঁতের শাড়ি পরেছিলেন কনে আর পাত্রের পরনে ছিল টিশার্ট ও জিনস। তাদের ঘিরে ছিলেন আইনজীবীরা। বিয়ের যাবতীয় আয়োজনও করেছিলেন আইনজীবীরাই।
Advertisement
কিন্তু এই বিয়েতে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন এমনভাবে অভিযুক্তের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে দেওয়া হল? ওই তরুণী কি চাপে পড়ে বিয়ে করলেন?
পুলিশ ও আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গোপালনগরের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ছিল হরিণঘাটার রুস্তমপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের। তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন ওই যুবক। সে তিব্বত পুলিশের কনস্টেবল। উত্তরাখণ্ডে কর্মরত রয়েছেন।
তরুণীর দাবি, গত বছর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে যুবকটি। মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাকে বুঝিয়েও রাজি করাতে পারেননি। এরপরেই অক্টোবর মাসে তরুণী বনগাঁও আদালতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গোপালনগর থানার পুলিশ ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
Advertisement
২০ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারকের নির্দেশে এতদিন কারাভোগ করেছেন ওই যুবক। জেলে থাকাকালীন সে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হয়। এক আইনজীবী বলেন, সম্ভবত ওই যুবক বুঝতে পেরেছিল তরুণীকে বিয়ে না করলে তার চাকরি চলে যেতে পারে। সেই কারণেই হয়তো বিয়েতে রাজি হয়েছে।
বনগাঁও মহকুমা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ওই যুবক ও তরুণীর পরিবারের লোকজন তাদের কাছে জানিয়েছেন তারা দু’জনের বিয়ে দিতে চান। সেই অনুযায়ী বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়। বিচারক ওই যুবকের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার ওই যুবক জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। সেদিনই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
আদালতে এমন বিয়ে দেখে মানুষের ভিড় জমে যায়। কয়েক’শো মানুষ বিয়ে দেখতে জড়ো হন। অনেকে আবার মোবাইলবন্দি করেন ওই যুগলের ছবি। এক আইনজীবী মন্ত্রপাঠ করে দু’জনের বিয়ে দেন। বিয়ে শেষে মিষ্টিমুখও করানো হয়।
ওই তরুণী বলেন, আজ আমি খুব খুশি। ওর উপর অভিমান হয়েছিল। এখন আর নেই। এখন সুখে শান্তিতে সংসার করতে চাই।
Advertisement
টিটিএন/এমএস