তৃতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হতে যাচ্ছে ঢাকায়। ২০০৩ সালের পর হয়েছিল ২০০৯ সালে। দীর্ঘ ৯ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ফুটবল টুর্নামেন্ট আবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৪ সেপ্টেম্বর, বাকি আছে ১০ দিন। কিন্তু এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি টুর্নামেন্টের ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
Advertisement
বিশেষ করে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান 'লাগাডিয়ার স্পোর্টসের' চাওয়া অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের আলো ১২০০ লাক্স-এ উন্নীত করতে পারেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হেলাল রোববার জানিয়েছেন, ‘১০০০ লাক্স-এর কাছাকাছি আলো পাওয়া যাবে। তাও পুরোমাঠে সমানভাবে আলো পড়বে কি-না তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’
ভেন্যু প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা দেখতে সোমবার আসছে সাফের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান লাগাডিয়ার স্পোর্টসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা মূল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, অনুশীলন ভেন্যুসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন।
এরই মধ্যে নতুন জটিলতায় পড়েছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)। প্রায় দেড় মাস আগে হংকং থেকে ১৮০টি বল আনা হলেও তা আটকে আছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাস্টমসে। একই অবস্থা দিন দুয়েক আগে আসা টুর্নামেন্টের টিকিটের। হংকং থেকে আসা টিকিটও আটকে দিয়েছে বিমান বন্দর কাস্টম।
Advertisement
‘এগুলো দেখার দায়িত্ব আয়োজক বাফুফের। সকালেই আমি শুনেছি টিকিট এসেছে। কিন্তু ছাড় হয়নি। আড়াই লাখ টাকার বেশি নাকি ট্যাক্স ধরা হয়েছে টিকিটে। কিছুক্ষণ আগেও লাগাডিয়ার স্পোর্টস থেকে মেইল করে আমাকে টিকিট দ্রুত ছাড়িয়ে আনার তাগাদা দিয়েছে। বল-টিকিট আটকে থাকা অবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার দুবাই থেকে আসবে ট্রফি। তা নিয়েও ঝামেলা হয় কি-না বুঝতে পারছি না। আমি বাফুফেকে সব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি’-জানিয়েছেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
সময়মতো টিকিট হাতে না পেলে সমস্যায় পড়বেন উল্লেখ করে সাফ সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘আমাদের বড় সমস্যা হবে স্পন্সরদের টিকিট নিয়ে। কারণ, তাদের আগেভাগে টিকিট পাঠাতে হবে। বুঝতে পারছি না, কবে টিকিট হাতে পাবো, কবে স্পন্সরদের দেবো। দর্শকদের টিকিট নিয়ে ভাবছি না। সময় মতো টিকিট না পেলে বাফুফে চাইলে গ্যালারি উম্মুক্তও করে দিতে পারবে। কিন্তু স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বরাদ্দের সঙ্গে লাগাডিয়ারের প্রচারের বিষয়টি জড়িত।’
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লাগাডিয়ার ১০ লাখ মার্কিন ডলার দিচ্ছে সাফকে। এর মধ্যে ৭৫০০০ ডলার আছে প্রাইজমানি। গত আসরের মতোই চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার ডলার, রানার্সআপ দল ২৫ হাজার ডলার এবং অন্য দুই সেমিফাইনালিস্ট ১০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৬ দেশ অংশগ্রহণ ফি বাবদ পাবে ২৫ হাজার ডলার করে। আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
আরআই/এসএএস/পিআর
Advertisement