জাতীয়

চালের বস্তায় মূল্য নাই, সিটি গ্রুপকে লাখ টাকা জরিমানা

চাল ও ডালের বস্তায় খুচরা বিক্রয় মূল্য লেখা না থাকায় সিটি গ্রুপকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

Advertisement

মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালানো হয়। অভিযান তদারকি করেন অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ তওহিদুর রহমান। পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাহমীনা বেগম। সার্বিক সহযোগিতা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘আইন অনুযায়ী চালের বস্তায় সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক। একই সঙ্গে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখও লিখতে হয়। কিন্তু সিটি গ্রুপের তীর মিনিকেট চাল ও ডালের বস্তায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও উৎপাদন তারিখ এবং খুচরা বিক্রয় মূল্য লেখা ছিল না। যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৭ ধারার লঙ্ঘন। তাই সিটি গ্রুপকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও সিটি গ্রুপকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তারা তা আমলে নেয়নি। পরবর্তীতে তারা সংশোধন না হলে আইন অনুযায়ী দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।’

Advertisement

আইনের ৩৭ ধারায় বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি কোনো আইন বা বিধি দ্বারা কোনো পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করিবার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহারবিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিবার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করিয়া থাকিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

অধিদফতরের এ সহকারী পরিচালক আরও বলেন, ‘বাজারে হঠাৎ করে কারণ ছাড়াই চালের মূল্য বাড়ছে। বাড়তি এ মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক ও উৎপাদনকারীরা। মধ্যস্বত্বভোগীরা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তাই আইন অনুযায়ী বস্তার গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে হঠাৎ করে চালের দাম কেউ বাড়াতে পারবে না। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান চালের বস্তায় ওজনে কম দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এসআই/এমএআর/এমএস

Advertisement