ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের রেশ তখনও কাটেনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে ওয়ানডেতে শীর্ষ দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭২ রানের সংগ্রহ বেশ তরতাজা। কিন্তু টি-টোয়েন্টির শীর্ষ দলের সঙ্গে আর পেরে উঠলো না আইসিসির সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ড। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৪৮ রানে হেরেছে তারা।
Advertisement
টস জিতে প্রথম ব্যাট করতে নেমে সরফরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। শুরুতে ফখর জামান এবং আহমেদ শেহজাদ ভালোই চড়াও হয়েছিলেন স্কটিশ বোলারদের উপর। কিন্তু স্কটিশ পেসার আলাসদাইর ইভানসের জোড়া আঘাতে ফেরেন তারা। ওয়ান ডাউনে নেমে হাসান তালাতও ১৮ রান করে দ্রুত ফিরে যান। এরপরেই দলের ব্যাটিং লাইনের হাল ধরেন অধিনায়ক সরফরাজ।
৪৯ বলে ৮৯ রানের মারকুটে এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সরফরাজের থেকেও বেশি মারমুখী ছিলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করার পথে খেলেন মাত্র ২৩ বল। মালিকের অর্ধশতকের ভেতর ছিল ছয়টি ছক্কার মার যেখানে চার ছিল না একটিও। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার কাইল কোয়ের্টজার ভালো সূচনা এনে দেন। জর্জ মুনসের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে হাসান আলীর বলে ২৫ রান করে আউট হন মুনসে। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় এবং পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত ৬ উইকেট হারিয়ে বোলিংয়ে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি স্কটল্যান্ড। পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী ও শাদাব খান দুটি করে উইকেট নেন। এই জয়ের ফলে ২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১৮ টিতেই জয় পেলেন সরফরাজ। যা তাকে এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের সেরা অধিনায়কের কৃতিত্ব এনে দিয়েছে। ম্যাচ সেরাও হন তিনি।
Advertisement
আরআর/এমএস