* দক্ষতার ঘাটতি, যথাযথ মজুরি পায় না বাংলাদেশি কর্মীরা * শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে প্রবাসী আয় কম* কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও মাদরাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে গুরুত্বারোপ
Advertisement
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অভিবাসন ব্যয় হ্রাস এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ ও নিরাপদ করার জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। পূর্বইউরোপসহ ৫২টি দেশে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গবেষণাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সংসদে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান ৬টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ও ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের ৪৮টি ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো হতে কর্মী পাঠানোর হার বৃদ্ধির কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ সংস্থা সিটি অ্যান্ড গিল্ডসের (সি অ্যান্ড জি) পাঠ্যক্রম ও মান অনুযায়ী বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি স্থানীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সি অ্যান্ড জি কর্তৃক সনদ দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্তির ফলে দক্ষ কর্মী হিসেবে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উচ্চ বেতনে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসী কল্যাণ আইন সংশোধন করে পরিচালনা বোর্ডে প্রবাস প্রত্যাগত দুজন কর্মীকে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে, অভিবাসী কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে প্রবাসী কল্যাণে আমরা আরও যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিদেশ হতে প্রত্যাগত শ্রমিকদের তথ্যভান্ডার তৈরি, দেশে তাদের কর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদান, যেসব দেশে অভিবাসীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি সেসব দেশে শ্রম উইং স্থাপনের মাধ্যমে কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা, বিদেশি ভাষা শিক্ষাদান কার্যক্রম জোরদার করা।
মুহিত বলেন, দক্ষতার ঘাটতির কারণে প্রবাসে বাংলাদেশি কর্মীরা যথাযথ মজুরি পায় না। অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় প্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম। বাস্তব, আধুনিক ও বস্তুনিষ্ঠ মাদরাসা শিক্ষাও দীর্ঘমেয়াদে মধ্যপ্রাচ্যসহ আরবদেশগুলোতে মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এসব দিকে লক্ষ্য রেখে কর্মসংস্থানবান্ধব কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো, এ ধরনের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা এবং মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
এমইউএইচ/এমএ/জেডএ/পিআর
Advertisement