শহরে ব্যাচেলর বা স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর একটি বড় অংশ বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন বলে অভিযোগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও) নামক একটি সংগঠন।
Advertisement
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্থান, কাল ও পাত্রভেদে মেস বিভিন্ন নামে পরিচিত। মহিলা হোস্টেল, ছাত্রী নিবাস, ছাত্রাবাস, ডরমেটরি, অফিসার মেস ইত্যাদি। মেস হিসেবে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। এ কারণে অনেকেই মেসে বসবাস করা সত্ত্বেও তা স্বীকার করতে লজ্জা পায়। মেস বিষয়ক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গ্রাম-গঞ্জের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বেশিরভাগই জীবনে একটা সময় মেসে বসবাস করেছে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেস সংঘের পক্ষ থেকে ১৩ দফা তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রতি বাড়ি-ফ্ল্যাটে মেসের জন্য স্থান বরাদ্দ, প্রতিটি মেসে পুলিশের পরিদর্শন ও সদস্যদের পরিচয় নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চতকরণ, মেস ভাড়া স্বাভাবিক কারণে বাড়ির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করণ, মেস ভাড়ার নীতিমালাকরণ, মেস কেন্দ্রিক অপরাধ রোধ, মেস মেম্বারদের প্রতি বাড়ির মালিকদের সঠিক আচরণ নিশ্চতকরণ, বিভাগীয় শহরের উপকণ্ঠে পরিকল্পিত মেস নগরী গড়ে তোলা।
Advertisement
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মো. আক্তারুজ্জামান আয়াতুল্লাহ, সদস্য সৈয়দ আক্তার মিয়াজি, নয়ন মৃধা, লিটন দ্রো, মোমেন মেহেদি প্রমুখ।
এএস/এমবিআর/এমএস