দেশজুড়ে

১১ জনের সবাই অন্ধ, বংশে বাতি দেয়ার কেউ নেই

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আটলিয়া গ্রামে একই পরিবারের ১১ জন চোখের সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে ১০ জন অন্ধ হয়ে যান। বাকি ছিল একটি শিশু। অবশেষে সেই শিশুটিও অন্ধ হয়ে গেলো।

Advertisement

সবশেষ অন্ধ হয়ে যাওয়া শাকিব হোসেন (১০) বর্তমানে ঢাকায় ভিশন চক্ষু হাসাপাতালের ডা. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ডা. জহিরুল ইসলাম, ডা. সাাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের আটলিয়া গ্রামের মৃত. ইয়াছিন মোল্লার পরিবারে বংশগতভাবে চোখের সমস্যা রয়েছে। এক শিশুসহ এই পরিবারের ১১ জনের চোখে সমস্যা রয়েছে।

এর মধ্যে শহিদুল ইসলাম (৬৫), মফিজুল হক (৫৫), আবুল হোসেন (৫০), মনুমিয়া (৪৩) এবং মুর্সিদা বেগম (৪০) অন্ধ হয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার ক্ষমতা হরিয়েছেন। ওই পরিবারে ৩৫-৪০ বছর বয়স হলে চোখে সমস্যা দেখা দিলেও বর্তমানে পরিবারের ১০ বছর বয়সের শিশু শাকিবের চোখও অন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

শাকিবের বাবা ইব্রাহিম জানান, তাদের বংশগতভাবে চোখের সমস্যা রয়েছে। ৩৫-৪০ বছর হলেই পরিবারের সদস্যদের চোখে সমস্যা দেখা দিতো। কিন্তু আমার ছেলের বছর তিনেক আগে থেকে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। অন্য চোখটিও নষ্ট হতে চলেছে। ছেলের চোখ এখনই অপারেশন করা দরকার বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিন্তু অপারেশনের জন্য দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমার কোনো জায়গা-জমি নেই। দিনমজুরি করে কোনো রকম সংসার চলে। আমার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি আমার ছেলের চোখের চিকিৎসার খরচ বহনে এগিয়ে আসে তাহলে আমার ছেলে সুস্থ হবে। তা না হলে অন্ধ হয়েই তাকে মরতে হবে। আমার বংশের বাতি জ্বালানোর মতো কেউ থাকলো না। সবাই অন্ধ হয়ে গেলো।

এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মো. গোলাম রসুল বলেন, বিষয়টি আমিও দেখেছি। চেষ্টা করেছি তাদের জন্য কিছু করার। কিন্তু আমার একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

আহমেদ নাসিম অনসারী/এএম/পিআর

Advertisement