সিরাজগঞ্জ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার দুপুরে জেলা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস.এম. তারেক রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এর আগে রোববার রাতে বেলকুচির নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই তাকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। পরে ১৪ মার্চ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আদালতের বিচারক আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার রিয়াদ হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তিনি বেলকুচি উপজেলার চরচালা গ্রামের বাসিন্দা।
রিয়াদ হোসেন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, বেলকুচি পৌরসভা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নারী মেয়রকে লাঞ্ছিত, বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর এবং ফেসবুকে স্থানীয় এমপি আব্দুল মজিদ মণ্ডলকে নিয়ে কটূক্তিসহ বেশ কয়েকটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
Advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বেলকুচির কলাগাছি গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মামা রিয়াদ, আরমান হোসেন, আল-আমিন হোসেন, রুবেল শেখ, পিচ্চি রতনকে অভিযুক্ত করে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে দেয়। এছাড়াও ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম প্রথমে বেলকুচি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে রিয়াদসহ অন্য আসামিদের যোগসাজশে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার জন্য ওসি সাজ্জাদ হোসেন সাদা কাগজে কৌশলে সাক্ষর নেন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া গত ১৪ ডিসেম্বর বেলকুচি পৌরসভা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নারী মেয়রকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিও রিয়াদ। সম্প্রতি যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা ও ফারুক হোসেনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করার পর বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বেলকুচি থানায় আরেকটি দ্রুত বিচার আইনে দায়ের হওয়া মামলায়ও রিয়াদ চার্জশিটভুক্ত আসামি। এছাড়া ফেসবুকে স্থানীয় এমপি আব্দুল মজিদ মণ্ডলকে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আরেকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/আরআইপি
Advertisement