থাইল্যান্ডে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটির নিবার্চন কমিশন। শুক্রবার শুরু হওয়া প্রক্রিয়াতে নিবন্ধিত হতে এগিয়ে এসেছে ৩৪টি দল। ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথম দেশটিতে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
২০১৪ সালের সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা দিন কয়েক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মধ্যেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর পরই শুরু হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
তবে এর আগে এ নির্বাচন আরও আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জারুনজিভত ফুম্মা শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই প্রথম আমরা নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করলাম। আরে এতে এগিয়ে এসেছে ৩৪টি দল। এর অর্থ হলো মানুষ রাজনীতি করতে চায় আর তারা সাধারণ নির্বাচন চায়।
Advertisement
থাইল্যান্ডে বর্তমানে ৬৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে।
২০০৬ সাল থেকে তাকসিন সিনাওয়াত্রার সময়কার একটি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিচ্ছেদের জর্জরিত থাইল্যান্ড। ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে আসা তাকসিন তৃণমূলের সমর্থন পেলেও থাইল্যান্ডের অভিজাত ও সামরিক মহলে তার শত্রুপক্ষ তৈরি হয়।
এরপর দেশটিতে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা পেলেও ২০১৪ সালে তাকসিনের বোনে ক্ষমতাসীন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী।
এখন নতুন রাজনৈতিক দলের যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা মার্চ পর্যন্ত চলবে।
Advertisement
তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে কমপক্ষে ৫০০ জন নিবন্ধিত সদস্য ও দলের তহবিলে ১০ লাখ বহত (৩১ হাজার ৭৭৬ মার্কিন ডলার) থাকতে হবে।
সূত্র: রয়টার্স।
এনএফ/এমএস