জাতীয়

পূর্বাচলের ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ বাড়বে

পূর্বাচলের কুড়িল-বালু নদী ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ও সময় কিছুটা বাড়বে। রোববার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৪নং সেক্টরের আর্মি ক্যাম্পে ‘কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল হতে বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বিষয়টি জানানো হয়।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত তুলে ধরেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনসট্রাকশন ব্রিগ্রেড ডিজি ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আনীস । তিনি বলেন , সার্ভিস রোডের বর্তমান অবস্থানের কারণে পূর্বের তুলনায় বেশি মানুষ সুবিধা ভোগ করবে। এছাড়া ৩০০ ফুট রোডের উত্তর-দক্ষিণে রাজউকের ড্যাপের তিনটি প্রস্তাবিত রাস্তা আছে। ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে এ রাস্তা তিনটির বাস্তবায়নের কাজও এ প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এর জন্য আরডিপিপি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিকটেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সবগুলো প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের ট্রাফিকের কোনো জট সৃষ্টি হবে না। রাজউকের ড্যাপের তিনটি প্রস্তাবিত রাস্তা বাস্তবায়নসহ পুরো প্রকল্পের খরচ ও সময় কিছুটা বাড়বে। রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান বলেন, খাল প্রজেক্টের ফলে ড্যাপের প্রস্তাবিত রাস্তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে। এটি প্লাস পয়েন্ট। ড্যাপের রাস্তা বাস্তবায়িত হলে বিপুল জনগোষ্ঠির সুবিধা হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ রায়হান কবীর বলেন, খাল খনন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে ১২০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৫০ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৮৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ৬০০ পরিবারের জমি নিয়ে মামলা আছে বিধায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা যায়নি এবং বাকি ৫০ পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেননি। সংবাদ সম্মেলন শেষে খাল খননের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মস্তুল এলাকার একটি মসজিদের নতুন করে নির্মাণের কাজ মাটি কেটে উদ্বোধন করেন রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানসহ অন্যান্যরা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বুয়েটের পরামর্শক দলের প্রধান প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজউকের প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিজাম উদ্দীন আহমদ, পিএসসি, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর ইঞ্জি. সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement